সোমবার, ২০ মে ২০২৪
 
vatirrani News

প্রচ্ছদ কিশোরগঞ্জ সদর নিজের টাকায় ১০০ বস্তা চাল ত্রাণ দিলেন কিশোরগঞ্জের নাদিম

নিজের টাকায় ১০০ বস্তা চাল ত্রাণ দিলেন কিশোরগঞ্জের নাদিম

গোলাম রসূল | ১:৫৭ অপরাহ্ন, ৯ এপ্রিল, ২০২০

1586419072.jpg

গোলাম রসূল: মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য-এই মূলমন্ত্রটি মনে ধারণ করে যেসব মহৎ মানুষ আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেদের প্রতিনিয়ত সম্পৃক্ত রাখছেন তাদের একজন জায়েফ খান নাদিম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করা কিশোরগঞ্জের নাদিম ঢাকায় চাকরি করছেন একটি স্বনামধন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে। দেশব্যাপী করোনা সংকটে তিনি দরিদ্র রিক্সাওয়ালা ও এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের খাবারের বিষয়ে তিনি শুরু থেকেই উদ্বেগ ছিলেন। ভাবছিলেন কি করা যায়।

অবশেষে গতকাল বুধবার নিজের জমানো টাকায় একশত বস্তা চাল দরিদ্র রিক্সাওয়ালা ও এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করেছেন। স্থাপন করেছেন এক মহৎ দৃষ্টান্ত। ত্রান বিতরণের পর নাদিম তার ফেসবুকে লিখেছেন...একবার ভেবেছিলাম রমজান মাসে দেবো। কিন্তু যে হারে বিভিন্ন এলাকা লক ডাউন হচ্ছে কবে না আমাদের এলাকাও লকডাউন হয়ে যায়। তাই সাত পাচ আর না ভেবে বেরিয়ে পড়লাম। একটা পিক আপ ভাড়া করে সাথে একজন লেবার নিয়ে আপাদত ১০০ বস্তা চাল নিয়ে বের হয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল ২০০ বস্তা দিবো। কিন্তু পিক আপে ১০০ বস্তার বেশী আর নেয়ার আর জায়গা নেই। শহরের কিছু এলাকায় ঘন্টা দুয়েক ঘুরে ঘুরে বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালা, এটিএম বুথের বৃদ্ধ সিকিউরিটি গার্ডদের ১ বস্তা করে দিয়ে দেয়ার পর একসময় শেষের দিকে প্রচন্ড গরমে শরীরটা খারাপ লাগছিলো। পিক আপের ড্রাইভারের হাতে বাকী এ কয়টা বস্তা দিয়ে চলে আসলাম। হয়তো সে এগুলো মানুষকে দিবে, হয়তো দিবে না। এসব নিয়ে আমার ভাবনা নেই। যার হাতেই যাক অন্তত আমার দেয়া চালগুলো দিয়ে কোন না কোন মানুষের আহার তো জুটবে! আর হ্যা! বস্তা ভরে চাল দিচ্ছি বলে ভাববেন না, আমি খুব টাকাওয়ালা হয়ে গেছি। না ভাই। আমি সাধারণ মানুষ, সাধারণ ই আছি। এমন কি আমি এই মাসের বেতনও পাই নি এখনো। আমার হাতে জমানো কিছু টাকা ছিল। সামনের দিনগুলোতে টাকাগুলো আমার খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যখন চোখের সামনে দেখছি না খাওয়া অভুক্ত মানুষগুলো অসহায়ের মতো ত্রানের গাড়ীর পেছনে দৌড়াচ্ছে তখন মনে হলো জীবনে টাকা পয়সা বহু আসবে। এখন এদের কিছুটা হলেও সাহায্য করা উচিৎ। মানুষের ক্ষুধার কষ্ট পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কষ্ট। টাকা জমিয়ে আমি কি করবো? এগুলো কি শেষ হবে না? এই শহরে তো এক সময় আমার কিছুই ছিল না। যখন বেকার অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি, এমনো দিন গেছে, দুইটা সিংগারা খেয়েও দিন পার করেছি। সেইসব দিন কি এখনো আছে!? নেই! সুতরাং, আল্লাহ চাইলে জীবনে টাকা পয়সা আরো বহু আসবে, ইনশাল্লাহ! জীবনে শুধু এইটুকো বিশ্বাস করি, যে অন্যের উপকার করে, আল্লাহ নিজেই তার সুরক্ষার ব্যাবস্থা করে রাখেন।

কি হবে এত ভেবে! এত জমিয়ে!!!?

জয় হোক এ মহৎ কর্মের। জয় হোক এ মানবতার।

1 Comments


Warning: Undefined array key "datetime" in /home/vatirrani/public_html/comments.php on line 23
Kamrul hasan
৬:০০ পূর্বাহ্ন, ১ জানুয়ারী, ১৯৭০
মহৎ কাজ

Post Your Comment

সম্পাদক: গোলাম রসূল, উপদেষ্টা সম্পাদক: কুদ্দুস আফ্রাদ ও ইব্রাহিম খলিল খোকন, নির্বাহী সম্পাদক: এস. এম. ফরহাদ
বার্তাকক্ষ: 01911214995, E-mail: info@vatirrani.com
Developed by CHAHIDA.COM